হাইপোথাইরয়েডিজম এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীর পর্যাপ্ত পরিমানে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে পারে না ।
থাইরয়েড হরমোন আপনার বৃদ্ধি, বিপাক নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।ফলস্বরূপ, যারা হাইপোথাইরয়েডিজমে ভোগে তারা ক্লান্তি, চুলের ক্ষতি, ওজন বৃদ্ধি, অল্পতেই ঠান্ডা অনুভব করতে পারে ।হাইপোথাইরয়েডিজম বিশ্বব্যাপী 1 থেকে 2% মানুষকে প্রভাবিত করে এবং পুরুষের তুলনায় মহিলাদের দশ গুণ বেশি হয় ।
হাইপোথাইরয়েডিজমে কিছু খাবারের নিয়ম :
আয়োডিন থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় একটি অপরিহার্য খনিজ।আপনার যদি আয়োডিনের অভাব থাকে তবে আপনার খাবারে আয়োডাইজড লবণ যোগ করুন অথবা মাছ, দুধ এবং ডিমগুলির মত আরো আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খান।
কিছু খাবার থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতায় বাধা দেয় যেমন বাঁধাকপি , ফুলকপি , ব্রকোলি , পালং শাক ইত্যাদি । তাই তত্ত্ব অনুযায়ী এই খাবারগুলো বাদ দেওয়া উচিত । কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এই খাবারগুলি বেশী পরিমানে খেলে অথবা যাদের দেহে আয়োডিনের ঘাটতি আছে তাদের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা করতে পারে । অল্প পরিমানে খেলে এবং সঠিকভাবে রান্না করে খেলে কোনো ক্ষতি হয় না ।
চা, কফি, এলকোহল, বেশি ক্যালোরি যুক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুড , প্রসেসড ফুড পুরোপুরি বন্ধ ।
কি কি খাবার খাবেন :
ডিম – গোটা ডিম ভাল । আইয়োডিন এবং সেলেনিয়াম কুসুমের মধ্যে পাওয়া যায়,সাদা অংশ প্রোটিনপূর্ণ ।
মাংশ – মাংসের মধ্যে চিকেন খাওয়া যেতে পারে । চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া যাবে না ।
মাছ – সামুদ্রিক মাছ, ছোট ও মাঝারি ওজনের মাছ খাওয়া যাবে । তৈলাক্ত মাছ খাওয়া যাবে না ।
দুধ – দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়া যাবে ।
ফল – যেকোনো ফল খাওয়া যাবে ।
বিঃ দ্র : থাইরয়েড এর ওষুধ খাবার নিয়ম হল সকালে খালি পেটে ওষুধ টি খেতে হবে এবং তার পরে কমপক্ষে ১ ঘন্টা খালি পেটে থাকতে হবে ।
বিশদে জানতে যোগাযোগ করুন ডাঃ দেবব্রত সরকার – জেনারেল ফিজিসিয়ান । ফোন : 9734100999
ওয়েবসাইট www.drdsarkar.com , ক্লিনিক – মেড কানেক্ট প্লাস ইক্লিনিক, রানীবাগান, বহরমপুর মুর্শিদাবাদ ।